তোমার এই স্তম্ভিত বসে থাকতে দেখে
আমি অবাক হই।
জীবনের জলস্রোতে গা ভিজিয়ে আরও
কিছুদিন বেঁচে বর্তে থাকো।
নিজের বিশ্বাস নিয়ে ভালোবাসার কাছে
নিজেকে মেলে ধরো।
ক্ষণিক জীবনের মূল্যবোধ থেকে
ফুরিয়ে যাওয়া কত সহজ।
বিবর্ণ লতার মত ঝিমিয়ে যাও তুমি
দুঃখ বিলাসের দু’কূল ঝাপিয়ে
তুমি ভেসে উঠতে চাও।
বহুদূর থেকে ভেসে আসা তোমার
বুভুক্ষু হৃদয়ের কান্না
সমস্ত স্তব্ধতাকে ভেঙ্গে হাহাকার করে ওঠে।
তোমার এই অদ্ভুত পলকহীন বেঁচে থাকায়
আমি লজ্জা পাই।
তুমি কি এভাবেই বাঁচতে চেয়েছিলে?
তুমি কি দেখনি তোমার বাড়ীর কার্নিশে
চড়ুই পাখীর সীমাহীন ব্যস্ততা।
ঝড় বৃষ্টি রোদ মাথায় নিয়ে
মানুষের বলয়ে বেঁচে থাকে।
তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী কিছু মানুষের স্বর
যায় না তোমার কানে।
একবারও কি মনে পড়ে না তাদের কথা
যারা তোমার দুঃখের দিনে দিয়েছিল ভালোবাসা।
নাকি কোন বিশ্বাসই নেই তোমার সেখানে।
নিরক্ত মনে বর্শার মত বিঁধে যাওয়া অপমানে
ক্ষতবিক্ষত হয় তোমার আগামীকাল।
অবিশ্বাসের গভীরতায় এড়িয়ে যাও
নবীন হৃদয় কাঁপানো অবুঝ অনুরক্ত
আমার ভালোবাসা।
চোখের সামনে তুলে ধরো
হলুদ হয়ে যাওয়া নিজের জীবনের ছবি।
স্তম্ভিত আমি অবাক হয়ে দেখি
তোমার কালো চুলে ফুটে উঠেছে
রূপালি রেখা।
তোমার মোমের মত ঠোঁটে পড়েছে
ধূসর ধুলির মলিনতা। আমার শানিত রক্তে অনুভব করি
তিলত্তমা রূপের ঔজ্জ্বল্য তোমার অন্ধকারে ঢাকে।
তোমার এই দুঃখ বিলাসের দিনে আমাদের
এই শহরে বইছে এলোমেলো হাওয়া।
তোমার ভালোবাসা তোমার দুর্ভোগ
তোমার প্রেম তোমার জীবনের পরিতাপ।
বিবশ যন্ত্রনায় তুমি হেসে ওঠো
নিজের ঘৃণায় নিজের করুনায়।