আমরা সমবেত হয়েছিলাম মিছিলে
মিছিলের আগে আমাদের কমরেড।
   কমরেড আওয়াজ দিলেন –
“বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।”
শৈশব থেকে মধ্য যৌবন পর্যন্ত
কমরেডের চোখে ছিল দূর দৃষ্টি
শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকা
শিখেয়েছিলেন আমাদের কমরেড।
সব বাধা অতিক্রম করে আমাদের মিছিল
পৌঁছেছিল এক চরম মুহূর্তে।
কমরেড আমাদের শুনিয়েছিলেন
শপথের বানী।
আমরা প্রস্তুত হয়েছিলাম প্রতিশোধ নেওয়ার।
উঠিয়েছিলাম হাতিয়ারবিহীন মুষ্টিবদ্ধ হাত
আকাশের দিকে।
সেই চরম মুহূর্তে আঘাত হেনেছিল
বুর্জোয়া গোষ্ঠীর লাঠিয়াল।
প্রচণ্ড আঘাতে জর্জরিত আমাদের কমরেড।
তার শক্ত চোয়াল হয়েছে শিথিল
বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে গেছে বর্শা।
ছিন্নভিন্ন শরীরে শুধুই রক্তের দাগ।
কমরেড চেয়ে আছে শূন্য দৃষ্টি নিয়ে
আকাশের দিকে—
যেন আত্মার অবিশ্রান্ত বৃষ্টি পতনের
শব্দের মত এক বিষণ্ণ দীর্ঘশ্বাস।
আমরা আওয়াজ দিলাম- কমরেড অমর রহে।
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।