অজস্র ফুলের রাশি ঢেকে দেয়
তোমার লাবন্য মাখা মুখ।
এই হিম তুষারের রাতে কুয়াশা সরিয়ে
দেখি ঝরে গেছে যত বকুল।
নিত্য বিদায়ের আগে সবুজে সবুজে ঝরে
তোমার লাবন্যের জ্যোৎস্নাধারা।
ভালোবাসা কতটুকু পেলে বুঝবে
আমি তোমায় ভালোবাসি।
রামধনুর হরেক বর্ণে ভরে দেব তোমার
অক্ষিকোল কোন একদিন।
কিঞ্জলে কিঞ্জলে সাজিয়ে দেব
কদম্বের নীচে পাতা ফুলশয্যার রাত।
অনন্বিত অসন্তোষ আর দুরভিসন্ধির খেলা
শেষ হলে।পেয়ে যাবো মাটি ও মানুষ।
আমার ধ্রুপদী আকাশে সূর্যের দিকে চেয়ে দেখি –
শুভ্রতায় স্নিগ্ধতায় সমুজ্জ্বল রূপসী নারীর মুখ।
একদিন তুলেছিল বিনয়াবনত মাথা
পুষ্পিত করেছিল জীবন আলোময়।
হাল্কা হলুদ রোদ্দুরে ছড়িয়ে পড়ে
তোমার রূপের বিভা।
উড়ন্ত চিলের প্রসারিত ডানার মত
তোমার ভ্রুর ধূসরতা, কর্ণলতিকায় হিমেল বাতাস
উড়িয়ে নিয়ে যায় কেশগুচ্ছ।
মাধবীলতার গায়ে মুক্তোর মত লেগে থাকা
শিশির বিন্দু ছুঁয়ে যায় তোমার ঠোঁটের পেলবতা।
প্রেম পালিতা হরিনীর মত কাছে আসো তুমি
আমি যতবার তোমার মুখের দিকে
তাকিয়েছি- বার বার ফুটে উঠেছে
আনত রূপসী নারীর মুখ।
আমি স্পর্শ করি তোমার নাভিমূল
তোমার লাবন্যে ফুটে আছে রক্তগোলাপ।