তোমার চোখে ছিল জারুলের বন
এক অনন্য প্রেমে তোমাকে দেখতাম
প্রতিটি সন্ধ্যায়।
শুকতারার মত উজ্জ্বল আমার আকাশে।
ক্রমশ প্রস্ফুটিত হয়েছিলো তোমার রূপ।
তোমার অবয়বে ফুটে উঠেছিলো নীহারিকাদল।
এই ঊষর ভুমির বুকে জন্ম নিয়েছে
যত লতাপাতা বকুল স্বর্ণচাঁপা-
অশ্রুজল গাছেদের থেকে শুনেছি
তোমার বন্ধুত্বের গান।
আমার ভালোবাসা তোমাকে ঘিরে তোমার কক্ষপথে
আবর্তিত হয়।
রেখো তারে সোনাঝুরি রোদের মুগ্ধ বিস্ময়ে।
ঘুমচোখে রেখো তার প্রশান্ত সকাল।
সেদিন ছিল কার্তিকের তৃতীয় সোমবার
আমি এসেছিলাম তোমার কাছে।
তোমাকে দেখতে চেয়ে তোমার শস্ত্রের
থেকে দুরে এই প্রানে বাঁচতে চেয়েছি।
রাস্তাবিহীন বিশ্বাসের সামনে দাঁড়িয়ে
আমরা দুজন।
আঙুলে আঙুল ঠেকলেও তুমি দুচোখ তুলে তাকাও নি।


তোমার চোখে ছিল জারুলের বন
প্রতিটি আকাশের একটা রঙ থাকে
আমার ভালোবাসারও একটা রঙ আছে।
তুমি হেঁটে চলে গেলে-
লেনিন সরণী, ক্রীকরো হয়ে শিয়ালদা ষ্টেশন।
বিকট আওয়াজ তুলে তোমার ট্রেন চলে গেল...
ওই যে তুমি হেঁটে চলে গেলে
ওই রাস্তাঘাট, গাছপালা, বাড়িঘর আকাশ
সব রঙহীন হয়ে গেল।
রঙহীন এই নির্জন পৃথিবী থমকে গেল।
শুধু ধূসর আকাশ আমার সঙ্গে চলতে থাকল।
রাস্তায় রাস্তায় প্যান্ডেলে তখন ঈশ্বর দর্শন চলছে।
আমি তাকিয়ে দেখলাম –
রঙহীন সেই ধূসর ঈশ্বরের চোখ।
সেখানে কি কোন করুনা ছিল?