সংসার ছিল ভরা কিন্তু দুরদৃষ্টি ছিল না
ঘর ছিল তার কিন্তু ব্যালকনি ছিল না।
ফলত তার ঘরে আসত না রোদ।
বৃষ্টিপাতের তাণ্ডব ছিল না ঘরে।
নিশ্চুপ নির্বিকার কেটে যেত দিন।
    জীবন কেটেছে তার অন্ধ আয়নার মত
    হতাশা, ক্ষোভে।
সামান্য স্বপ্নিল আশা যা ছিল মনে
ঢেকে গেছে বারবার বোধহীন মুখের ছায়ায়।
একদিন প্রতিদিন করে জমতে থাকা
অবসাদের ঘনশ্বাসে ভারি হয় বুক।
নিরাশার জলকনায় ঝাপসা হয় দৃষ্টি।
সে নিজেকে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
আঁচড় কাটে সারা শরীরে।
অনেক কাল পর সে নিজেকে আবিষ্কার করে
সংসারে সে একা।
সহসা জীবনব্যাপি তুচ্ছতাকে দ্বিখণ্ডিত করে
সে গড়ে তুলে এক সবুজ সুন্দর সাঁকো।
সাঁকোর দুই প্রান্তকে আমি বেঁধেছিলাম।
সেটাই কি ছিল আমাদের ভালোবাসাবাসি।
সকল নারীর মত দয়ামতী ছিল সে
কখনও না বলে নি। বলেছে ‘কি লাভ হবে জেনে।’
তাকে ভালোবেসে আমি আমার কবিতাকে
পূর্ণতা দিতে পেরেছিলাম।
তাকে আমি শুনিয়েছিলাম আমার ভ্রমন কথা।
পাখী বা নদীর প্রতি আমার অনুরাগ।
কবিতার কথা। আমার অপ্রেম, প্রেমের কথা।
আর সামান্য কিছু সবুজ স্বপ্ন।
ঘর পোড়া গরুর মত সে কিছুই শোনে নি।
না শুনুক, তবুও সে আমার।
আমার পাপড়ির থেকে নিষ্ক্রান্ত ভ্রমর
উন্মনা ঊরুতে যার আমারই পরাগ
লেগে আছে।