অকারনে তুমি ভয় পাও
যদি বৃষ্টি আসে অসময়ে।
মুখ ঢেকে বিছানায় শুয়ে থাকো একা।
ফোঁটা ফোঁটা ঝরে পড়ে জলবায়ু পুরো।
মস্তিষ্কের সিক্ত ভাবনা থেকে
আর্দ্র ভেজা স্মৃতি অবধি।
ফোঁটা ফোঁটা বিন্দু তোমার ঠোঁটে...
শুধু ঢিমে তাপ অনুভব করি তোমার গাঢ় নিঃশ্বাসে।
আমাদের হাসি ঠাট্টার গল্প হতো –
বৃষ্টি প্রসঙ্গে সৃষ্টি
সৃষ্টির অনুষঙ্গে দৃষ্টিকোণ।
দৃষ্টির পাশাপাশি দৃশ্যাবলীর কথা হত।
‘আমরা বৃষ্টিতে ভিজব দুজনে।’
শরীরে তখন জলপ্রপাতের শব্দ।
তোমার নাভীর নীচে উল্কিতে হাত রাখতাম
তুমি সরিয়ে নিতে হাত
সরে যেতে দুরে—
জীবনের অবেলায় যদি আসে বৃষ্টি
তুমি ভয় পাও। ভয় পাও নিজের মুদ্রাদোষে সারাক্ষণ।
যদি উঠে আসে বিবর্ণ কোন শিকড়,
সমাজের দীর্ঘসূত্রী নিয়মকানুন।
আমি জানি মৃত্যু আসে প্রত্যেক জীবনে
একে একে।
তবে জীবন কেন নয়?
আর আমি – অসময়ে বৃষ্টি এলে
সাজাব তাকে জীবনে।
ফুলের পোশাকে
নাকের নোলক,আর রঙিন ডানার কথা ভাবতে ভাবতে
অচেনা বৃষ্টির সাথে বন্ধুত্ব করে অনলস
এগিয়ে যাব তোমার দিকে...