ফিরব বলে ফিরতে পারোনি তুমি।
আমি অপেক্ষায় থেকেছি –
যেমন অপেক্ষায় থাকে শীতের ঝরে যাওয়া
গাছেরা বসন্তের উন্মুখে।
স্বার্থপর জীবনকে রক্ষণশীল আখ্যা দিয়ে
অসম সম্বন্ধের নৈরাশ্য আর নৈরাজ্যে ডুবে যাও।
তুমি ভাবো - পুরুষের যে প্রেম খণ্ডিত,
সে প্রেম কি নারীকে দেবে পরিত্রাণ?
নারীর ভুমিকা বর্জিত পুরুষত্বের অহংকার।
তবুও প্রেমের বৃত্তে ফিরবে বলে-
নগরের পথে ঘাটে লজ্জার আঁচ বাচিয়ে ঘোরাফেরা।
যতিচিহ্ন আঁকতে চাই নি তোমার জীবনে।
আমি কি অনেক চেয়েছি সময়ের কাছে—
তোমার থেকে দুরে আছি, মৃত্যুকে ফিরিয়েছি হাজার বছর।
বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া হলুদ পাতায় নেই কোন
অনুতাপ ভালোবাসার।


অনেক দিন পর এই পথে চলে আসি নদীর কাছে।
তোমার অবিশ্বাস, মান-অভিমানের পালা শেষ হলে
ভুল বোঝাবুঝির দোলা স্তব্ধ হলে –
আমি অপেক্ষায় থাকি সূর্যোদয়ের।
একটা বৃত্ত থেকে আর একটা বৃত্তে যেতে
তোমার কি মনে হয় না
গভীর অন্ধকারের আগুনে ঢুকে যাচ্ছে
তোমার সমস্ত শরীর।
তাহলে নিজেই তো পার নিজস্ব জলের মধ্যে,
অশ্রুর ও কান্নার মধ্যে নিভিয়ে দিতে সেই আগুন।
প্রজাপতির রঙিন পাখনায় ভর করে স্বপ্ন দেখো
নিজেকে পাল্টে দেওয়ার।
ফিরব বলে ফিরতে পারো নি।
মাখতে পারো নি রোদ নিজের উঠোনে।