অপর্ণা...
তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার মুহূর্তে
জ্বলে ওঠে মনে বিষাদের আগুন।
ভালোবাসা যুদ্ধে বিধ্বস্ত আমি,
আমি শুধু চেয়ে থাকি – উত্তরণের অপেক্ষায়।
একাকিনী তুমি,
সমস্ত পরিচিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারনি..
কতদিন আগে এই চোখ চেয়েছিল তোমার দুচোখ।
হাত ছুঁয়েছিল আষাঢ় মেঘের মত আর্দ্র কেশপাশ।
শরীর ছুঁয়েছিল শরীর। আজও আমি পাই সমুদ্রর
সেই লবনাক্ত জলজ ঘ্রাণ।
তুমি ধাক্কা দিয়ে সরে গেলে দুরে
যেমন ঝড়ের আগে ধাক্কা দেয় ঈশান বাতাস।
তোমার কি অকালবর্ষণে ভয় ছিল?
আমি সহমরন চেয়েছিলাম, তাই তুমি খুলে
দিলে তোমার মনের অর্গল।
তোমার উরুর ভাঁজে উড়ে এসে বসেছিল
আমার যত কামনা বাসনা।
দুষ্টু বালিকার ফুল ছেঁড়ার সমান হিংসায়
আমার ওষ্ঠ থেকে ছিঁড়ে নিলে প্রথম পুরুষ ভাষা।
আমি সেই দিন থেকে বন্দি।
সেই থেকে আমি অসম্পূর্ণ।
আমার কবিতায় পাই না খুঁজে ভাষা।
অপর্ণা, সব নদী সাগরে যায় না।
সব পাথর আকাশের বিরুদ্ধে গর্জে
ওঠার জন্য হিমালয় হয় না।
নিঃশ্বাস একবারই শরীরের
দুঃখ থেকে মুক্তি পায়। সন্ধ্যার কলকাতা
বড় প্রতারক, নক্ষত্রের নীচে জীবন বীমা
বাড়ীর নীচে তুমি একাকিনী
কাজ করে যাও নিরন্তর।
আমার বুকের মাঝে বাসা গেড়ে আছে
তোমার বিষণ্ণতার ছাপ।
কই একবারও তো বলিনি শরীরের নীচে
এসে আমাকে মুক্তি দিয়ে যাও।
আমার সমস্ত কবিতার পক্ষপাত
পুড়ে ছারখাক হোক এই শ্মশান উৎসবে।