মহীয়সী, আমি কবি নই
আমার কবিতায় নৈসর্গের ঝলক খুঁজো না।
ইতিহাসের পাতা উলটে দেখো যদি কিছু পাও।
পেতে পার আমার কিছু পুরনো
কলঙ্কের আভাস।
সেই সময়, তোমার জন্য কেনা পেয়াজ রঙের শাড়ী
তোমার জন্য নিয়ে আসা মুঠো ভর্তি রোদ।
আমি তো চেয়েছিলাম নেফারতিতির মত
তোমার গ্রীবায় উল্কি আঁকতে।
চন্দন দস্যুর মত ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলাম
তোমার ভ্রূ বিভঙ্গের চন্দন ফোঁটা।
কিন্তু মহীয়সী, কেমন করে তুমি মুঠোর ভিতর
ঝকঝকে রোদকে বদলে দিলে বাদামী
আর লম্বা আয়ুরেখায়।
দৈনন্দিন জীবনের ভিড়ে পাল্টে দিলে
আমার জীবনের অভিমুখ।
নৈর্ঋত থেকে ছুটে আসা এ কোন হাওয়া
যা বার বার তোমার কথা মনে পড়ায়।
আমার লাজুক কবিতাগুচ্ছ তোমার কথা বলে,
এই পাহাড় পর্বত নদী নালা,
আর উপত্যকার পুরনো কথা।
জেনো রেখো মহীয়সী তুমি আছো আমার
নিসর্গের ভিতর, আমার নিহত রৌদ্রের ভিতরেও।