আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অবাক চোখে দেখো
আয়নার ভিতর তোমার কুঞ্চিত মুখ।
অবাক হও, এমন দিনও কি আসতে পারে।
নুন গোলমরিচের মত কাঁচা পাকা চুল
যেন মনে হয় অনেক বছেরর ঘুম ভেঙে
তুমি জেগে দ্যাখো।
হঠাৎ হঠাৎ করে এসে দাঁড়ায় সেইসব দিন
পথে প্রান্তে হারিয়ে যাওয়া ক্ষণ।
মিছিলের পায়ে পায়ে এগিয়ে যাওয়া শহরের ভিড়।
বৈশাখের দাবদাহে প্রেমিকের জন্যে
দাঁড়িয়ে থাকা দিন।
হতাশা আর প্রবঞ্চনার সঙ্গে লড়তে লড়তে
ক্লান্ত, বিধস্ত তুমি।
মুখ কালো করে দাঁড়িয়ে আছো—
জীবনের অপরাহ্ণ বেলায় হিসাব করো
কি পেলাম কি পেলাম না।
নীড় খোঁজ শান্তির পাতাপর্ণ হাতে।
যেন রোগে সংকুচিত হতে হতে ছোট হয়ে আসা শরীর।
সারাদিন কাজের পর যখন গা এলিয়ে দাও-
দ্যাখো একাকিত্ব তোমার চারপাশে।
শেষ বয়সে যে প্রেম এসেছে তার নাম কি একাকিত্ব?
তোমার রাধামাধবের মূর্তি, তোমার বুকসেলফ,
তোমার কিচেন, সব সব তোমার পরিচিত একাকিত্ব।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দ্যাখো গাল বেয়ে
গড়ে আসা অশ্রু সেও স্বপ্রশ্নে বর্তমান।
তোমার কণ্ঠনালি বেয়ে উঠে আসা তপ্ত নিঃশ্বাস
একাকিত্ব হয়ে থাবা বসায়
তোমার পিপাসার্ত জীবনে...