গোধূলির আলো গায়ে মেখে আমি তোর অপেক্ষায় থেকেছি
একদিন আমার গৌরবের চাঁদ হয়ে উঠবি।
একা চাঁদ এক উৎসব হবি।
অন্ধকারের ভাষা প্রতিদিন শুনি আমি রাতে
অন্ধকারে একলা চলা পথিক –
তোর মেঘশরীরে আজন্ম এক বিষাদ-প্রবনতা
তাতে গার্হস্থের কোন গান নেই,
নেই মহাসঙ্গমের অপার্থিব আলো।
অথচ তুই তো কবির জীবন—
তুই তো প্রজাপতির আয়ুষ্কাল,
কবির ক্যানভাসে উৎকীর্ণ লিপি।
গুহাচিত্রে আঁকা চিরকালের ছবি।
তোর তো একটা জীবন আছে, তোর তো একটা যৌবন আছে।
যে জীবন তুই কখনও চাস নি
সেখানে একটা ভয়ংকর গোমড়া মুখের প্রতিবিম্ব
দেখতে পাস। জীবনটা বেছে নেওয়া কি তোর হাতে ছিল না।
তোর দুঃসময়ের মেঘের ছায়াতে
সুন্দরের মেঘভাঙা রোদ এসে পড়ে।
চেয়ে দেখ যে এসেছে সে কি অতিথি?
যে জলখাবার খেয়ে চলে যাবে।
নাকি সে তোর বুকের ভেতর, মাথার ভেতর, সংসারের ভেতর
বসার ঘর থেকে ভেতরের ঘরে ঢুকে পড়েছে।
হ্যাঁ, এতদিন তুই যে অতিথির অপেক্ষায় ছিলি
আঁচলের গিঁঠ খুলে রেখে চলে আয়।
কাঁটা তারের বেড়া কেটে চলে আয়।
পাগলি তোর জন্য – ডেকে যাক দূর্বার তরঙ্গনী জল...