মেঘে মেঘে বেলা যায় বাড়ে নিরুত্তাপ
হেমন্তের এই আরশিখানা রেখে
তোমার মগ্নতা ছুঁয়ে জেগে থাকি সারারাত।
অন্ধকারের শিরায় শিরায় কত না প্রবাহ স্রোত
আমি তার কতখানি ছুঁয়ে জাগাব পরমদ্যুতি?
যে শরীর তোমাকে দেব ভেবে ক্লান্তিহীন
বানিয়েছি অশ্বমেধ ঘোড়া।
তোমার পদচিহ্ন দিয়ে আঁকব বিশ্বজয়ের সীমারেখা
তুমি কি এখনও টের পাওনি আমার
এই উপায়হীন মন, বেশ বুঁদ হয়ে জড়িয়ে আছে
তোমার নির্মেদ শরীরে।
তোমার এই প্রতিষ্ঠিত কামনা ক্লান্ত শরীরে আমি লুকিয়ে থেকেছি।
আমাকে তুমি বিশ্বাস দাও। ক্রমাগত বিশ্বাস
যাকে ভালবাসা যায়, যে ভালোবাসার মত সুন্দর।
তোমার অনাথ শরীরের শুন্যতার স্তবকে স্তবকে মোড়া আদর জর্জরিত।
আমি শুধু অপেক্ষায় থাকি – অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটবে।
ছুঁয়ে যাবে পূর্ণিমার চাঁদ, এই মাধবী রাত।
তোমার চোখে কি ছিল মায়াবী জাদু?
তোমার আগুন চোখে দগ্ধ হয়েছি প্রতিদিন
কালো চুলের অন্ধকারে পথ হারিয়েছি বারবার।
তোমার নরম বুকের রোদে ছিল আমার স্বপ্নের বিস্তার।
দ্বৈপায়নের মত তোমার নাভিতে ছিল আমার অজ্ঞাতবাস
ভালোবেসে আমি পথ হারিয়েছি।
পথ হারিয়েছি ঐক্যতানের জঠর জুড়ে...