আমাকে তুমি স্পর্শ কর মানবী
তুমি স্পর্শমুখ খুলে চুম্বন দাও।
এই ক্লান্ত বিষণ্ণ দ্বিপ্রহরে তোমার কাছে এসেছি
মানবী তুমি লজ্জা পেয় না।
তুমি উদ্ভিদ হও, লতায় পাতায় জড়িয়ে ধরো
তোমার স্পর্শ জাগরূক হয়ে থাক আমাদের শরীরে শরীরে।
মাঝে মাঝে আমি ভাবতে থাকি –
একটা নিঃস্তব্ধ হৃদয়ের ব্যথা ও আনন্দ
কি ভাবে দগ্ধ করে মানুষকে?
ধোঁয়াচ্ছন্ন বুকে আমি শ্বাস নিতে পারি না
চোখের অশ্রু জমে যায় চোখের ভেতর।
যা কোন দিন রামধনুর রং নিতে পারে না
একটা বিবর্ণ দিনের মত।
আমাদের সংবেদনহীন মানসিকতা অশান্ত থাকে
আমাদের ভালোবাসার চারণভূমিতে।
ধ্বনি ও প্রতিধ্বনির ভিতর অনুরনিত হয় আমার কানে
এক রমনীয় প্রত্যাদেশ।
আমার দর্শন, কল্পনা, চেতনার জ্যোতিরেখা,
উপলব্ধির সম্পর্ক জালে আমাদের আত্মা ও দেহ
ছুঁয়ে যাবে সূর্যালোক।।
অপসৃয়মান চাঁদের সাথে জেগে ওঠো তুমি
বসন্ত তরঙ্গ তোল ভিতরে আমার
শোনাও অসহনীয় যন্ত্রণার গান
তুমি কি বুঝতে পার না আমার প্রমত্ত মুহূর্তটি
সরিয়ে রেখো না আমায়
নিয়ে এসো মনে রিমঝিম ভাবনাধারা
ভরিয়ে দাও হৃদয়াবেগ গানে গানে...