কতটা কি বিষয় ছিল, কতটা ছিল গভীরতা
নাকি ছিল কোন অভিজ্ঞান?
তোমার ঠোঁটের আবেদনে কি তা গেল জানা।
একদিন ধেয়ে এসেছিলো ফাগুনের হাওয়া
জীবন যাপনে লেগেছিল রঙ মুগ্ধ প্রত্যাশায়।
অস্থির হাওয়ায় আমি শুনেছিলাম তোমার
ত্রস্ত পদধ্বনি।
অরন্য প্রান্তরে আমি একাকী তোমার মুখোমুখি
সমস্ত বাধানিষেধের পাড় ভেঙে
তুমি ধরা দিয়েছিলে আমার আলিঙ্গনে।
বর্ষার রাত্রি ভেঙে ভেঙে তোমার শরীরে
ফুঁসে ওঠে কিসের ক্ষতচিহ্ন?
সময়ের অভিমানে ঝরে রক্তক্ষরণ।
বুঝি আমি প্রত্যাশিত সম্পর্কের ঈষৎ আড়ালটুকু চেয়েছিলে।
কিছু চাওয়ার আগে বর প্রার্থনা করি
ঈশ্বরের অপার করুনা।
কোনভাবে জানা গেল না –
যদিও প্রয়োজন ছিল তোমাকে আমার।
নিশীথ আঁধারের ভেতর তোমাকে অনুবাদ করি
আমার রঙিন দুচোখে।
ছড়িয়ে দিতে চাই রং তোমার শরীরে শরীরে।
রিক্ত এ পৃথিবীতে আমায় তুমি কোথায় নিয়ে যাবে
কখনও কি খুঁজে পাবে জীবন আমার নষ্টনীড়ে
ফিরে আসি আমি আমার কলঙ্কে হতবাক পরবাসী স্বগৃহে।