ভালো কি বেসেছি কখনও
বয়সের কুঁড়িগুলি রঙিন হয়েছিলো কোনোদিন কোন অবকাশে।
কৃষ্ণাদ্বাদশীর রাতে তার হাত ধরে ঘুরেছি রাস্তায়
রিক্ত জীবনে মনে পড়ে শুধু তার রাঙা ঠোঁট।
ভেতরের বহু নবীন পাখিটি নড়াচড়া করে বারবার
আমার নষ্ট সময়গুলো জমাট রক্তের মত
তার কথা মনে পড়াই—
এই গোধূলি, এই মেঘলা আকাশ, এই বসন্ত উৎসব।
আমি মাঝে মাঝে ছুটে যেতাম সায়নীর কাছে
তার জ্বর হলে আমি বিষাদ হতাম।
স্কুলে একদিন না দেখলে আমার মনখারাপ হত।
মনে হত রংহীন এই পৃথিবীতে অন্ধকার আমার নিজস্ব উঠোনে।
ঈশ্বরের প্রতি ভীষণ ভীষণ রাগ হত।
দৃশ্যের অবতারনা করতে করতে
আমি অপেক্ষায় থেকেছি..
অনন্ত বিষাদ ছুঁয়ে আছে স্বপ্ন ভাঙা হলুদ দুচোখে।
মনের মধ্যে জমতে থাকা দুঃখ আর বিষাদ নিয়ে
আমি বার বার ভেঙেছি ঝর্নার উল্লাসে।
এমনই অবেলায় রৌদ্রের মধ্যে হেঁটে যেতে যেতে
তোমার ক্যানভাস জুড়ে দেখি অনন্ত গোধূলি।
এমন জড়িয়ে গেছ যে পায়ে পায়ে ফেলে আসা
জীবনের দিকে চেয়ে দেখি – আমার মনের রঙের অতলে তুমি।
তবুও তোমাকেই টেনেছি।
আজ সায়নীর কাছে যাবো-
তার শরীর থেকে লজ্জা খুলে নিয়ে
বুকের ভেতর বকুল ফুলের গন্ধের মত মিশিয়ে থাকব।
তোমাকে একান্তে আজও আমি দেখি আমার বিধৃত যৌবনে।
তোমার আমার প্রেম স্তব্ধ হয়ে ধ্যান করে ঝড়ের আশ্লেষে।
এক জীবনের সব অন্ধকার প্রকাশ উন্মুখ...