তোমার শরীর জুড়ে ছিল আজন্ম খরার ইতিহাস।
বিষণ্ণ বিকালে একাকী মুখ বুজে আছো
সমস্ত বিস্ময় আর আবেগে কোলাহলে
যে পুরুষ তোমার আঙুল ছুঁয়েছিল
আঙুলের রোমন্থন সব খুঁজে ফিরে
আমার সর্বান্তকরণের গান
আমার বিষণ্ণ মেদুর বিকাশে অবসাহন।
চেয়ে আছি – তোমার বাঁশপাতার মত পাতলা ঠোঁটে
হাঁসি দেখব বলে।
তোমার সকল ভাবনা কবিতার মত উড়ে এসে
হঠাৎ করে ভিড় করে অনুভবের আকাশতলে।
আমি আলোর মত বেঁচে থাকতে চেয়ে
জ্যোৎস্নার মত ঝরে পড়ি তোমার জীবনে।
বিপরীত থেকে ভেসে আসে এ কোন
যৌবন ছোঁয়া আবেগ হাওয়া ।
তোমার অবাধ্য মন, অগোছাল চুল সকল স্তব্ধতা ভেঙে
আমাকে ছুঁয়ে যাওয়া।
রাত ভর প্রাচীনতার অবচেতনে আমি তোমার জলে পা রাখি
আমাকে ঘিরে শুরু হয় জলের উচ্ছ্বাস।
তোমার অন্তর্নিহিত কোলাহলে চমকে উঠি
মনে হয় তোমার দোতলা বারান্দার টবে
ঘাসফুল কিংবা রক্ত গোলাপ হয়ে ফুটে থাকি।
দেখি নগরীর ধুলো ওড়ে শুন্যে।
আছে বারান্দায় পোড়া রোদ, বৃষ্টি ভেজা কার্নিশ ছোঁয়া বনসাই।
সাজিয়ে দিই তোমার কবিতার ঘর
সব নির্জনতার কোলাহলে –
শব্দ মুছে যায় , অর্থ হারায় জীবন
পরাবাস্তবতার অধরা জলে...