পলাশের বর্ণচোর আমি
তোমার থেকে রঙ চুরি করব বলে
তোমার শহরে পা রাখি।
যে নারীর চোখে দেখি অনন্ত সাগর
প্রহর গুনছে সে মৃত্যু ভয়ের।
ভয়ঙ্কর ক্ষোভের ভিতর যেন অশান্ত মৃগছায়া।
সময়ের গা বেয়ে রংচটা খোলসে বার্তা বিনিময়।
খর্ব কর নিজের জীবন এক তিক্ত অভিজ্ঞানে
কতটা গৌরব চিহ্ন রেখেছ জীবনে?
যে আলোর ধারাটি বয়ে নিয়ে গেছো একদিন
শুন্যের ভিতর-
আলোর সে জ্যোতিতে শেখো নি তুমি
বেঁচে থাকার প্রথাটুকু কেমন?
এ যেন কাঠবেড়ালির সংসার পাতা পোড়াবাড়ীর ভেতর।
এত মধুরতা নিয়ে কেন মিথ্যে প্রহসন?
কতটা তুমি জানো – যে নদীর স্রোত বয় ভেতর ভেতর,
খেয়ে ফেলে সে পাড়ের অনন্ত গহ্বর।
ছায়া ছায়া সব স্মৃতির অবয়বে যার দিন কাটে
তারও মধ্যে তুমি একজন।
বিস্ময়ভরা চোখে আমি যতবার তোমার
অবগুণ্ঠন খোলার চেষ্টা করি
তুমি নিজেকে আড়াল কর প্রতিদিন।
পলাশের রঙ তীব্র হলে কতটা হও নিবিড়
আজও জানা গেল না তোমার ঠোঁটের আবেদনে।
পরের ট্রেন দশটা দশে, আমি ফিরে আসি
তোমার থেকে দুরে শুন্য হাতে...