এমনই তোমার হাঁড়ির হাল সবাই কি সব জানে
তোমার ভেঙে যাওয়া গার্হস্থ্য জীবন ছারখার।
কেউ না জানুক আমি তো জানি,
      আমাদের পাড়ায় তোমার নিত্য পারাপার।
ছিল না তোমার জীবনের কোন অভিমুখ
লজ্জাজড়িত অনুশোচনায় ছিল না
কোন প্রস্ফুটিত কুসুমের ঘ্রাণ।
তবুও স্বপ্ন জাগে মনে –
কিন্তু সহজ সরল হওয়া কতটা কঠিন।
তোমাকে বুঝতে চেয়েও বুঝতে পারিনা কখনও।
চরাচর জুড়ে এক অনন্ত মায়া ..
আমি অবাক চোখে দেখি তোমার এলেবেলে জীবন।
তুমি ততটা হতে পারনি সামাজিক?
অথচ ধ্যানস্থ অপর্ণার মত তুমিও চেয়েছিলে
অবিকল সংস্থাপিত সংসারে সম্ভাবনার একখানি ফুলমালা।
আমি ফুল ছড়াই তার পথে
যার অভ্যন্তরে আমি স্থাপন করি এক সমুদ্র উচ্ছ্বাস,
বাইরে অভয় আকাশ, অরন্যানী।
তোমার মায়াবী চোখে ছিল কত না হাতছানি।
বাঁচো, বেঁচে থাকো সুন্দর এই পৃথিবীতে।
যদিও চাঁদ দেখার শেষ নেই, নেই নীল আকাশে হারিয়ে যাওয়ার মানা।
ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের মত আমাদের বয়সের সাথে
ডালপালা শুকিয়ে এলে
মনের কুসুম ইচ্ছাগুলো বিবর্ণ পাংশুটে হয়ে যায়।
বয়স হয়েছে তো কি? দুচোখে ভরে নাও পলাশের রং
আবিরে আবিরে হোক লাল।
তুমিই আমার সামনে দোল উৎসব
তুমিই আমার ঈপ্সিত ঈশ্বরী...