নারী তুমি তোমার কাছে প্রেম ভিক্ষা করি।
তুমি দাও রাত্রির আকাশ থেকে স্রোতস্বিনী নদী
সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ তুমুল বৃষ্টিপাত।
প্রবাহিত তরঙ্গিনীর মত বয়ে যাই আমি
কূলহীন, জ্ঞাতি গোত্রহীন
পিতৃ পরিচয়হীন পুরুষ।
মাঠে মাঠে আমার স্বপ্নের ঠিকানা।
তুমি আমাকে মন্ত্রনা দাও – কিভাবে সভ্যতা সাজানো
আলোর পাশ থেকে  সরিয়ে নিতে হয় চৈতি পূর্ণিমা।
শত লক্ষ বছরের পরিযায়ী ক্ষত নিয়ে
আমি স্বপ্ন পরিবৃত হয়ে শুধু সংখ্যাতত্ত্ব গুনি।
আমাকে সবাই বলে  - আমি তো পুরুষ নই,
কি বা আমার নাম ঠিকানা, কোথায় আমার দেশ,
কোথায় আমার গ্রাম।
পূর্ণিমার থেকে পক্ষকাল দুরে অমাবস্যা পাঞ্জর কাঁপিয়ে হাঁসে,
বলে – তুমি প্রেমিক হতে পারনি, পিতা হতে পারনি
ভালো স্বামী হতে পারনি।
তুমি কারও সত্যকাম হতে পারনা।
যে নদীর স্রোতে পাড় ভেঙে গেছে
কোন যন্ত্রনায় তাকে আমি অবরোধ করি।