শান্ত অথচ গভীর
জলে দাঁড়িয়ে আছে শেষের কবিতার লাবণ্য।
বসে আছি আমি, আমার সৃষ্টিশীল বন্ধুর পাশে।
সোনালী সৌন্দর্যময় ইছামতী নামের উছল নদীর বাঁকে।
সূর্য ডুবে গেছে দিগন্তে
নক্ষত্র জন্মের আগে।
যুবতীর নীলাভ ওড়নার মতো
জ্বল জ্বল করে দীপ্ত ধ্রুবতারা।
আমি অবাক চোখে দেখি –
তরঙ্গে তরঙ্গে জলকন্যার মত নাচে ইছামতী।
দুরে এসেছো  তুমি এত দুরে অনাভ্যাসের মত,
ছিল কি পলাশের হাতছানি?
পদে পদে ব্যর্থতা নিয়ে, সম্মুখে উদাসীন।
এলোমেলো পথের দুধারে ছড়ানো
রহস্যময় কৈশোর।
মধ্যে আমি প্রেমের কাঙাল অতিশয়।
কিছুই কি তুমি জানো?
ভালোবাসার উত্তাপ ছড়িয়ে তোমার শরীরে
ইছামতীর ঘ্রাণ।
গল্প আঁকি তোমার অতীত জীবন।
সন্ধ্যার ট্রেনে চেপে জানালায় চোখ রাখি
হলুদ জ্যোছনা আলোয় চিক চিক করে ইছামতীর জল।