দেখে যেতে চাই কি ভাবে তোমার নির্জনতা থাকে নির্জনে।
উৎসুক চোখ উৎকণ্ঠাকে সঙ্গী করে
রাঢ়ের মোরাম বিছানো পথে যেন স্বপ্নাবিষ্ট এক নিঝুম প্রান্তর।
শান্ত হাওয়ায় আমি অজয়ের পারে দেখি – আদিগন্ত রোদ,
ছায়া নেই, নোনা রোদ শুষে নেয় শরীরের ঘাম।
উতল হাওয়ায় ভেসে আসে তোমার বয়ঃসন্ধির ফাঁকে
সেই মহাত্ম্য। নিদ্রাহারা নিশীথ উৎসব।
যৌন মত্ততায় শরীরে শরীর ছুঁয়ে...
আকর্ষণে চলে যাও চরমসীমায় ।
মুগ্ধতা ছড়াও মাঠে মাঠে। অনন্য হয় উত্তরণ।
যাকে নির্মাণ কর সকাল সন্ধ্যা, সেই উদগ্র প্রেরণা প্রনয় পিপাসা।
ভেতরে ভেতরে তাকে কি বাঁচিয়ে রাখতে পার না ?
তোমার আকাশে মেঘেদের আনাগোনা এবং এক চপল ভাসান।
ঝরা বাদলের স্মৃতি খুঁড়ে নিয়ে আসো এক নৈঃশব্দ আঁধার।
শুরু থেকে শেষ শব্দ গন্ধর্ব উৎসবে
যে সব কথা নীরবতায় অংশত মেঘলা
কার্যত তাকে অস্বীকার করবে কি করে?
তোমার মেঘলা আকাশ জুড়ে বর্ষা নামে
পরিযায়ী পাখীর মত ভিজতে ভিজতে উড়ে যাও দুরে...