যে নদীটি তুমি আমায় দান করেছিলে
সে জানে আমার সরলতা, আমার দুর্বলতা
সব জানে নদী কতখানি ছিলে তুমি শান্ত
নিতান্ত আটপৌরে ফর্সা মেয়ে।
নদীর পাড়ে বসে আঁকি তার ছবি।
সে কি বুঝেছিল কোনোদিন, আজও তাকে আমি ভালোবাসি
নদী জানে সব, নদীকে আমি দিয়েছি বর্ষার অশান্ত যৌবন।
যে নদীটি বয়ে চলে আজও তোমার গ্রামকে স্পর্শ করে
লালমাটির পাহাড়ের সানুদেশে—
সমূহ রৌদ্র শুষে নিয়ে প্রবল ঝঞ্ঝাঘাতে কেঁপে ওঠা চরাচর
যা একদিন হয়েছে নিথর আর দীর্ঘতম যাত্রাপথের ঝরাপাতার গান।
যুগের ওপার থেকে ঠেলে আনি মেঘ।
কবি তার সমস্ত সম্পন্ন আবেগ দিয়ে
নদীকে দেয় সুভগা নারীর মন।
নদী বয়ে চলে এঁকে বেঁকে মোহনার দিকে ।
আকাশ জোড়া আকাট এই রোদ্দুরে
আমি অপেক্ষায় থাকি ঈশান ঝড়ের।
নদীর পাড়ে আজও ওড়ে লালমাটির ধূলো।
তোমার মুগ্ধতার অধরামাধুরীতে কিছু কি রাখো নি মনে?