বর্ধমানেতে থাকে নামজাদা ডাক্তার মনোতোষ দত্ত।
ছুটে যায় তাঁর কাছে দেখাতে আমার নাকে নেই কেন গর্ত?
কাজ করি সারাদিন কোন নেই গোলমাল, সব খোশ।
রাতের বেলায় এসে বিছানায় শুই যেই – ভোঁস-ভোঁস!
নাক ডাকে অবিরাম - ফর-ফর, ফরর-ফুঁস , কী জ্বালা!
আশে-পাশে থাকে যারা সবার কানেতে ভাই লাগে তালা।
কেউ ভাবে চোর বুঝি সিঁধ কাটে মাঝ-রাতে এ পাড়ায়।
ভাবে কেউ বোমাবাজি হচ্ছে তো নিশ্চয়ই, হায়,হায়!
এ পাশ-ও পাশে যত বাড়িঘর আছে তার লোকজন
থানায় বলতে কথা তাড়াতাড়ি তুলে নেয় মুঠোফোন।
কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ এসে,ছুটে আসে দমকল।
মানুষ কাঁদছে ভয়ে, বলে- এই পাড়া ছেড়ে এখনই পালায় চল।
ঘুম ভাঙ্গে দরজায় লাথি মারে কে যেন দুম-দাম!
চেয়ে মরি লজ্জায়! কী কাণ্ড ঘটে গেছে, বিধি বাম!
বলি তাই – ‘ডাক্তার, আমার বন্ধ নাক খুলে দিন।
বিনিময়ে যত চান গাড়ি-বাড়ি-সম্পদ সব নিন’।
মনোতোষ বলে দেন, নাকের পরীক্ষা করে – সাইনাস!
মারাত্মক রকমের! অপারেশনেই শুধু হতে পারে মাইনাস’।
ডাক্তার মনোতোষ কেটে-কুটে নাকখানি ক’রে ফাঁক
আশ্বাস দেন শেষে - ‘কোনদিন একটুও জ্বালাবে না এই নাক’।