আমরা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের কাছে আপাত বন্দী!
দৃশ্যমানকে দেখেই হিসেব করে থাকি বাকি দুনিয়ার!
অথচ বুঝতে চাই না, পৃথিবীটা কত রঙে রঞ্জিত!
মনের মাঝে ধারণা জাগে, সবই বুঝি একই রকম!
কিন্তু, ভুল ভাঙ্গলে থাকে না সময়-আত্মশুদ্ধির।


এ সভ্যতা মানুষের জীবনকে বর্ণিল করেছে সত্য,
তবে তা হয়েছে মনুষ্যত্বের বিনিময়ে!
সাথে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে মানুষকে পশুর কাতারে!
মানুষই মানুষের বন্ধু, এ কথা যেমন সত্য-
তেমনি-আবার মানুষই মানুষের শত্রু!
যখন আমরা আবাদ করি কদর্য বিদ্বেষের!


সৃষ্টির রহস্যে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের জীবন!
তাই আমরা ভাবি এক আর হয় অন্য রকম!
মরণকে স্মরণ রাখলে মানুষ হয় না সহজে পাপী।
গোনাহের কাজ অধিক করলে-আরশ উঠে কাঁপি!
শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করে কল্পিত জয়ের মোহে!
প্ররোচিত করে স্রষ্টার বিরুদ্ধে-বিপথে চলতে!
আমরা ভুলে যাই শেকড়ের ঠিকানা, সত্যপথ!
ভাবতে থাকি ঘোরের মাঝে নিজেকে বলশালী!
অহংবোধ এসে ভর করে বিক্রীত আত্মায়!
আরো বেশি বেশি চলতে থাকি উল্টো পথে।


তবে, সত্যকে মিথ্যে দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না।
সত্যের প্রদীপ্ত শিখা জ্বালিয়ে দেয় মিথ্যের কল্পলোক।
নিজেকে গোনাহগার ভেবে যে জন স্রষ্টার কাছে
ক্ষমা চাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে,
নিশ্চয়ই তিনি ভাগ্যবান।


কারণ, সবার উপরে আল্লাহ্’ই ক্ষমাশীল-মহান;
তাঁর উপরে আর সবকিছুই অস্তিত্বহীন।