যতদূর চোখ যায়, শুধুই চায়ের বাগান, পাশ দিয়ে পিচ ঢালা পথ;
আহা! কি নিসর্গ যেন সৌন্দর্যের রানী! ইচ্ছে করে লিখি এক খত,
সুউচ্চ পাহাড় চূড়ায় সকালের দৌড়ে নিঃশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়!
তবু, থামা-থামি নেই; মনে হয় থেমে গেলে কি করে মিলবে জয়!

তাত্বিক ক্লাসের পর কিছুটা বিরতি, পুনরায় শুরু হয় নানা প্রদর্শনী,
ক্যাম্পের অন্য প্রান্তের বহুত নীচে বহমান খরস্রোতা ঝরণার পানি;
পাথরে ঢাকা ভূমি মনে হয় নেই মাটি, হাঁটুজলে গোসলের নির্দেশ,
সিনানে তৃপ্তি নাই তাই পাথর ধরে উবু হয়ে শুয়ে ভেজাই পৃষ্ঠদেশ!

লান্সের পর ব্যবহারিক ক্লাসে চলে ভয়ংকর সব বোমবাজির খেলা!
কোন কোন দিন বসে নানা ধরণের সব অস্ত্রের ফায়ারিং এর মেলা!
মজা করে শিখে নেই কি ভাবে তৈরী করা যায় হরেক রকম বোমা!
কত রকম মাইন, বুবি ট্র্যাপ, কত রকম এক্সপ্লোসিভ লাগে না ট্রমা।

স্লেটে নাম-ঠিকানা, মুক্তিযোদ্ধা নম্বর লিখে পাঁজরে ধরে ছবি তোলা!
শুরু হলো দুইশত পঁচিশ মুক্তিযোদ্ধার উইং লিডার নির্বাচনের পালা;
প্রস্তাব হ'ল শানিকদিয়া চরের মো. ফখরুল ইসলাম ফারুকের নাম,
ক্যাম্পে রইলো ফারুক দোভাষী হিসেবে আওয়াল কবির পেল দাম।

ট্রেনিং শেষে ফেরার পালা, তরঙ্গপুর, কালিগঞ্জে একটু বিরতি এবার;
ক্যাম্প ইনচার্জ, অধ্যাপক আবু সাঈদ তখন সংসদ সদস্য, সাঁথিয়ার।
আওয়াল কবির থেকে গেলো ক্যাম্পেই, ঈশ্বরদীর মিন্টু হলো লিডার,
দেশের উদ্দেশ্যে শুরু করলাম যাত্রা সকলেই পেয়ে গেলাম হাতিয়ার।