অপেক্ষার প্রহর কাটে না আর! ঘুরি, বেড়াই, যাই শিকারপুরে;
দেখি যুদ্ধ! কেমনে মর্টার শেল ছুঁড়ে শিকারপুর থেকে প্রাগপুরে!
এভাবেই দিন যায়, এই ভাবে পার করি ক্যাম্পের অলস সময়,
ট্রেনিংয়ে চলে গেল পরিচিত জন, একদিন হলো সেই সূর্যোদয়।

প্রত্যুষে লরি এলো ক্যাম্পে উপারম্ভ হয়ে গেলো সাজ সাজ রব;
সারি সারি দাঁড়ানো লরিতে দুই শত পঁচিশ লড়াকু উঠলাম সব,
গেলাম হাওড়া ষ্টেশনে, তৈরী ট্রেন; ত্বরিত এলো এক ছাত্রনেতা,
বলেন, মুকুল! নিতে হবে আমার দু’জন, ওদের ভাই যে মিতা!

অবশেষে বাদ পড়লাম অরাজনৈতিক পরিবারের আমি ও মতিন!
দলীয় কর্মীদের নিয়ে গড়া এ বাহিনী, তাই আমরা ফিরি সেদিন।
তবে হইনি হতোদ্যম অতঃপর নিয়ে গেল মালদহের গৌড়বাগান;
সামরিক বাহিনীর অধীনে অস্ত্রহীন প্রশিক্ষণ চলতে থাকে দিনমান।

এলো সেই বহুল প্রত্যাশিত মাহেন্দ্রক্ষণ, লরিতে শুরু হলো যাত্রা,
গন্তব্যস্থল শিলিগুড়ির পানিঘাটা; শেষ হইয়াও হয় না শেষ রাস্তা!
পাহাড়ী ঢালের উজানে চলছি! গন্তব্যে পৌঁছাতে ঢের হলো রাত্রি!
লরি থেকে নামি যখন, পাহাড়ের চূড়াতেই আছি! দুঃসাহসী যাত্রী।

গতদিনের বিদায়ীদের তরে তৈরী মিষ্টি পরাটায় রাত হ’লো পার।
এবার শোবার পালা, বাঁশির শব্দে উঠলাম যখন, তখনো আঁধার!
বোতলে পানি নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে সারলাম ভোরের প্রথম কাজ,
চা-পরাটায় পারণ সারিয়া পরিধান করি সামরিক ট্রেনিংয়ের সাজ।