আত্মহননের কলঙ্কিত অধ্যায়ে হবে বুঝি রক্তের হোলিখেলা!
সামাল স্বপ্নাবিষ্ট শূর, থেকোনা সুদূর, হেলায় খুয়াবে বেলা!
বিশুদ্ধ বনানীতে, মিশে গেলে রজনীতে, বাঁচবে জীর্ণ বাসর
ঘুমন্ত পড়শিদের জাগাও প্রথম তারপর গড়ো নবীন দোসর।


হয় যদি হিসেবে কোনরূপ গরমিল, পারভাঙ্গা কষ্টে ভুগবে
উজানে চলবে নাও, বিষয়টা বুঝে নাও, নইলে ডুবে মরবে,
আসবে ঝড়-তুফান, তাঁকেই করো স্মরণ, যে করবে রক্ষা
সংযমে বাড়বে দম, অপচয় করো কম, পাবে কিছু শিক্ষা।


ছন্দ মিলে গেলে, মুক্তি রবে না ঝুলে, আসবে নির্মল শান্তি
বাতায়নে চোখ রেখে চিরকুটে দাও লিখে, মুছে যাবে ক্লান্তি,
নিরাশা ছুঁড়ে ফেলে স্বদেশ, ভালোবেসে গড়ে যাও ইতিহাস
তবেই ধন্য জীবন, বিস্মিত হবে ভুবন, বলবে সবে শাবাশ!


বাতাসে আসবে ভেসে নাগিনীর ভয়ঙ্কর শিস, ছড়াবে বিষ;
তবুও চলবে খেলা, ছুটবে ভাসিয়ে ভেলা, অবিরল-অহর্নিশ,
বিধাতা থাকলে সাথে, আলোক ছড়াবে পথে, দূর হবে ভয়
পূর্বদিগন্ত জুড়ে ঊষার আলোর ভাঁজে, আসবে কাম্য বিজয়।