জীবন যখন তপ্তদিনের রুদ্র-রুক্ষ মাঝদুপুর
বাজে না অন্তর্বীণা, থেমে যায় প্রিয়ার নূপুর,
প্রেয়সীর আবেগটুকু অস্থিরতায় তৃপ্তি হারায়
কাব্যকথার ছন্দ-সুধা অজ্ঞাতে যায় বহুদূর!


হাসে না ক্লান্ত হৃদয়, শ্রান্ত সোহাগ কষ্ট পায়
নবান্নে শোচন ছড়ায় ময়না-শালিক নগ্ন গায়!
ভুলে যায় যুগলপ্রেমী গাঁথতে মালা সবুজ ছায়
হেরে গিয়ে ভোরের পাখি কন্ঠে দেয় না সায়!


অশ্রু ঝরে দুই নয়নে, যেমন ঝরে বাদল গাঁয়;
আলতো করে মন্দাকিনী দুঃখটুকু ছড়িয়ে দেয়,
দিগ্বলয়ে  ভ্রান্ত পান্থ সুখের আশায় পথ হারায়
অন্ধকারে ঝড়-সাপটে শান্ত সমীর মুখ ফেরায়!


পেখমহীনা মনময়ূরী কালের বাঁকে হারিয়ে যায়
জীর্ণ নায়ের ছিন্ন পালে আরশিনগর পথিক ধায়,
সুখের ঘটী দ্বিধা ভুলে আসতে কাছে শরম পায়!
এমনি করেই কুপিত প্রহর কষ্ট নিয়ে হাজির হয়!