স্পর্ধিত এই আমি! ভাবি বিশ্বের মহাশয়!
অথচ, ভ্রান্ত পান্থের মতই ছুটছি লক্ষ্যহীন;
এ সৃষ্টি কি শুধুই রঙ্গশালা, দ্যোতক নয়?
অর্থহীন হলে কেন রহস্য, কেন এলো দ্বীন?


কোন সৃষ্টি কি স্বয়ম্ভূ, ব্যতীত মহান স্রষ্টা?
স্রষ্টাই স্রষ্টা। কারণ, তাঁর কোন স্রষ্টা নাই;
যে সৃষ্ট, সে স্রষ্টা নয়; কার থাকে আস্থা?
মহাবিশ্ব কি নিরর্থক, প্রহেলিকা কেন পাই?


স্রষ্টা অস্তিমান, “যিনি এক ও অমুখাপেক্ষী,
তিনি জন্ম নেননি, কাউকেও জন্ম দেননি;
তাঁর তুল্য আর কেউ নেই” কোরান সাক্ষী;
বিকল্প চিহ্ন আজো কেউই কোথাও পাননি।


ব্যক্তি, প্রকৃতি, সে কি চিরন্তন? অবিনশ্বর?
সে তো নিজেই নিজেকে বোঝে না কখনো!
কি করে বুঝবে সে অপরের হৃদয়ের খবর?
বিশ্বাস-অবিশ্বাস, ইচ্ছে তোমার যে কোনো।


বিশৃঙ্খল সৃষ্টি বহুমুখী প্রক্রিয়া কেমনে করে?
কেউ নিশ্চিত? স্বয়ংক্রিয় ভাবেই সব সৃষ্টি?
কোন জননী কি নিজেকে জন্ম দিতে পারে?
যে নিজেই অক্ষম, কেমনে ঝরাবে সে বৃষ্টি?