বলতে ইচ্ছে করে, তুমি এ প্রজন্মের বীর মুক্তিসেনা,
বেঁচে থাক মাগো তুমি স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে।
তুমিতো শুধু গৃহিনীই নও, তোমার বলিষ্ঠ হাতে দেখি
মুক্তির ঝান্ডা পত্ পত্ করে উড়ে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে!
তোমাদের নেত্রে শোকের শক্তি জ্বল জ্বল করে জ্বলে!
তোমাদের দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ করুক, ছুঁয়ে যাক তন্দ্রালু
জনপদের প্রতিটি দুর্বল মানুষের অবচেতন হৃদয়কে।


তোমার বিদ্রোহী কবিতার দীপ্ত আবৃত্তি বজ্রনিনাদ হয়ে
ঝলসে দিক, দেশদ্রোহীর আত্মম্ভরী নকশার দুঃস্বপ্নকে।
তুমি তো সেই সন্তানতুল্য মধ্য বয়সী নারী, যে ছড়াবে
আলোকরশ্মি! নিপীড়িত-অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি।
আবেগমথিত মানচিত্রে দেখি তোমাদের রুদ্র প্রতিচ্ছবি,
তোমরা এগিয়ে যাও বীরদর্পে, অনাগত প্রজন্মের তরে-
হয়ে বিশুদ্ধ ভোরের, দীপ্যমান-প্রীতিকর সোনালি রবি।


১৯৭১ থেকে এ পর্যন্ত দেশ-জনতার প্রয়োজনে যে সমস্ত নারী (আমার মা সহ) নিজ সন্তানকে উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যেই এ কবিতাটি উৎসর্গ করলাম।