সৃষ্টির দৃশ্যমান রূপে বিমূঢ় হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলি!
উদ্ভ্রান্তের মত নেমে পড়ি সবে প্রতিপক্ষের জাত বিচারে!
উন্মোচন করতে চাই কারো জন্মের রহস্য শ্রেষ্ঠত্ব পেতে!
আবিস্কারের নেশায় উন্মাদ হয়ে উঠি নব তথ্যের সন্ধানে!
এভাবেই হাতড়ে মরি-যন্ত্র গড়ি পাতাল-জমিন-মহাশূন্যে!

কল্প শক্তিকে পুঁজি করে খুঁজি আপনার ঐতিহ্য জনপদে!
হাজার-লক্ষ-কোটি পাতায় আঁচড় কাটি জীবন-আয়ুষ্কালে!
শেষে ক্লান্তি এসে পীড়ন করে ক্ষয়িষ্ণু দেহের নানা ভাঁজে!
সজ্জিত হই কত তাজে, অর্জন করি কত অপরিমেয় অহম!
কিন্তু, পারি না স্বীয় অর্জন নিয়ে বেঁচে থাকতে অনন্তকাল!

অনেককে পেয়ে বসে ভোগের লালসা, করে ক্ষমতার চর্চা!
গড়ে তোলে সম্পদের পাহাড় লোভের আতিশয্যে মূঢ় হয়ে!
অলি-গলি-জনপদ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, গড়ে তোলে দুর্দম্য দূর্গ!
গড়ে তোলে বারুদের ভয়াল গুদাম! শত্রুকে পরাস্ত করতে!
কিন্তু, তবু হেরে যায় নমরুদ-ফেরাউন-সাদ্দাদের মত করে!

তবু, স্বপ্ন খেলা করে আপন খেয়ালে বাজিয়ে মোহনীয় সুর!
ভাবে মনে মনে, যা পেয়েছি, তার চেয়েও আরো বেশি চাই!
কেউ বা দৌড়ায়, নিজ অস্তিত্বের ইতিহাস খুঁজে বের করতে,
খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে যায়, পূর্বসূরীর অনুসন্ধান পশুর মাঝে!
আহা! কি আনন্দ আকাশে-বাতাসে! নাচে তা ধিন্ মহানন্দে!

কেউ বা খুঁজে পায় মহা গ্রন্থের সন্ধান, যার মাঝে পেয়ে যায়
আলোকিত পথ, যে পথ বেয়ে পৌঁছে যায় সেই সত্তার মাঝে।
যিনি স্বয়ংসৃষ্ট জ্যোতি, আলোক বিন্দু, একটা দ্যুতির ঠিকানা;
যেখান থেকে বিচ্ছুরিত হয় মহাসত্য, দীপ্তির উজ্জল ফোয়ারা।
যার আকর্ষণ ভুলিয়ে রাখে সর্বদাই, মর্তে না পাওয়ার বেদনা।