সেই শৈশব থেকে কৈশোর-
কৈশোর থেকে তারুণ্য পেরিয়ে যৌবনে!
অতঃপর যৌবন টপকে দাঁড়িয়ে আছি পৌঢ়ত্বে!
কতবার যেতে চেয়েছি সুখের পিঠে চড়ে স্বপ্নের দেশে!
কতবার মুক্তির মিছিলে গিয়েছি শান্তির সন্ধানে!
কিন্তু, মুখ থুবরে পড়ে আশাহত হয়েছি!


কখনো কখনো জানালার কপাট খুলে
দেখেছি, রঙিন দুনিয়াটা কেমন ঝলমল করছে!
হাতের ইশারায় ডেকেছে পিছনের দরজা দিয়ে ওদের
সাথে মিশে জীবনকে উপভোগ করে স্বপ্নকে জয় করতে!
কিন্তু বারবারই একটা “কিন্তু” এসে পিছু টেনে ধরেছে!
পরিশেষে যুক্ত হয়েছি অক্ষম মানুষের কাতারে!


অথচ, আজ বিষ্ফোরিত নেত্রে দেখছি-
কেউবা ছুটছে মুক্তির তরে অবৈধ শক্তির পিছে!
তবে, বিস্মিত হয়েছি বিসর্জিত হতে দেখে নৈতিকতা!
দেখছি, মানুষ কেমন করে অরণ্যচারী হয়ে যেতে পারে!
ওরা কেমন নির্বিকার চিত্তে খুন-গুম-ধর্ষণ করে
জগতের মাঝে শ্রেষ্ঠ হবার সান্ত্বনা খুঁজে!


মাদকের পসরা সাজিয়ে, চুরি করে-
গড়তে চায় বালির বাঁধে ভঙ্গুর কাঁচের স্বর্গ!
ভাবে না, যেতে হবে নিঃস্ব হয়ে কবরে শূন্যহাতে!
শেষে হাশরের ময়দান; দন্ড হাতে অপেক্ষমান আল্লাহ্।
যেখানে জমিনের অর্জিত অর্থ-সম্পদ-ক্ষমতা
আসবে না বিন্দু পরিমাণ কোন কাজে!