হে ঐশ্বর্য্যশালী অবনীর স্রষ্টা,
তুমিই তো অন্তর্যামী সর্বলোক দ্রষ্টা;
তোমার অফুরন্ত ভান্ডার থেকে
আহরিত সম্পদ ওরা করে যায় ভোগ।


অথচ বিনিময়ে অহমিত হয়ে যদি
পদভারে বিচূর্ণ করে সদা ইহলোক!
তাদেরই কারণে যদি বিস্তৃত জনপদে
বিভীষিকা বেড়ে গিয়ে বাড়ে মহাশোক!


জ্ঞানীর তকমাগুলো বাতাসে ছড়িয়ে ধুলো
ধোঁয়াশায় ভরিয়ে দেয় ত্যাগীর পুলক!
চয়িত শব্দাবলী বানিয়ে বিদ্রুপের গুলি
বিষাদে ঢেকে দেয় যদি প্রশান্ত ভুলোক!


কৃতঘ্ন আত্মাগুলো লুটে নিয়ে মুক্তির আলোক
নিয়ত অশিষ্ট বাক্যবাণে হারায় অনন্ত দ্যুলোক!
বাড়াতে নিজের আয়ু কেড়ে নেয় নারীর নোলক;
ওরাই জ্ঞানপাপী ভবে, শয়তানের ঘৃণিত পালক।