ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে আলোর অবশেষটুকু!
গ্রাস করছে আঁধারের কালো ছায়া!
বিশ্বাসের বৃত্ত সংকুচিত হতে হতে নিঃসঙ্গতার
হতাশা ব্যঙ্গ করতে শুরু করেছে!
সীমাবদ্ধতার পাথুরে দেয়াল ভেদ করার
শক্তি যেন নিঃশেষ হবার বেদনায় কাতর!
তবে কি পরাজয়ের পদধ্বনি দুঃস্বপ্ন নয়?
হায়রে নিয়তির অমোচনীয় খেলা!
বিজয় ডঙ্কার প্রতিধ্বনির রেশ মিলিয়ে যাবার
পূর্বেই অশনি সংকেতে আঁৎকে উঠেছে বহিরাঙ্গন!
অন্দর মহলেও কানাঘুঁষার ফিসফিসানী!
প্রশ্নবোধক চিহ্ন ফুটে উঠছে দূর থেকে কাছে।
পর থেকে আপন জনের কুঁচকে যাওয়া
ললাটের ভাঁজে ভাঁজে।


এত দ্রুতই গুনন আর যোগের পালা বদলে যাবে!
সৌভাগ্যের অলিন্দে বিয়োগের পদচারণা!
ভরা ফসলের ক্ষেতে শিলাবৃষ্টি বর্ষনে
নবান্নের উৎসব ম্লান হবার উপক্রম!
উদ্ধত দুর্ভাগ্যের ছোবলে ধরাশায়ী হবার
সময় গণনার সংকেত বেজে উঠার
অপেক্ষায় বিব্রত সহযোদ্ধাগণ!
অথচ অপ্রাপ্তদের দীর্ঘ তালিকা অযথাই
তল্পিবাহক হবার অপবাদ নিয়ে কৃষ্ণ
তিলকধারীর মত চিহ্নিত হয়ে গেল!


ভরা পূর্ণিমার জোছনার ঢেউয়ে মধু মিলনের
সুখানুভূতি অকস্মাৎই ঘনকালো মেঘের
গর্জনে আর বজ্রপাতে অতৃপ্ত!
সুপরিকল্পিত দর্শনের দীর্ঘতর পথযাত্রা
শুরুতেই এমন করে হোঁচট খাবে,
হিমালয়ের পাদদেশেই অনভিজ্ঞ অভিযাত্রীদের
এলোপাথারী দাম্ভিক পদাঘাতে তুষার ধ্বসে
পর্যুদস্ত হয়ে বিদ্ধস্ত হবে! কেউ তা ভাবেনি;
আচমকা বিদ্যুতের চমকের মত আতঙ্কের দুঃসহ
যন্ত্রণা দুঃশাসনের চাবুকের মত মোহভঙ্গ ঘটাবে!


স্বপ্নভঙ্গে আশাহত হয়ে হয়ে
শরাহত বলাকার মত কাতরাবে!
বাছা বাছা নট নটীদের নগ্ন কনসার্টে
বেহালার সুর বেজে নৃত্যানন্দে বিভোর
উপভোগীদের বিরক্তি ঘটাবে!
এমন দুরাশার বাণী ভিশন মিশনের কোথাও
লিপিবদ্ধ ছিল বলে কারও মনে পড়ে না।
অথচ সৌভাগ্যের চাবি কাঠি অঞ্চলে
বেঁধেও সুরাপাত্রে শেষ চুমুকের অভিপ্রায়
বুঝি দুরাশাই থেকে যাবে!