পড়ন্ত বিকেলের গোধূলি বেলায়
বসে আছি খেয়াঘাটে তরণীর আশায়!
দেরী দেখে স্মৃতি ঘেঁটে কাটাই সময়!


মনে পড়ে, শৈশবের মায়ের আঁচল;
কত যে বায়না ছিল বড়দের কাছে,
না পেলে দু’চোখ হতো, অশ্রু সজল!
কায়দা-ছিবারা নিয়ে ছুটেছি মক্তবে,
অ আ ক খ দিয়ে শুরু করি ভোর।
রাত হলে মায়ের কোলে ঘুমের ঘোর!


দুরন্ত কৈশোরে ধূলি মাখা সারা গায়ে
খেলেছি কত খেলা সকালে-বিকেলে!
শুনিনি কারো কথা, মানিনি বারণ!
পানি করলে ঘোলা বকা দিতো ভোলা!
আম-জাম-লিচু চুরি, কেটেছি কত ঘুড়ি;
কোথা গেল সেই দিন আজ খুঁজে মরি!


তারুণ্যের শুরু ছিল গুলি-বোমা দিয়ে!
গর্ব করি তাই স্বাধীন মানচিত্র নিয়ে;
রক্তভেজা পতাকার তলে স্বদেশ দোলে,
আবারো এসেছি ফিরে মায়ের কোলে।
পেয়েছি আবার ফিরে আগের জীবন,
পড়ালেখা, খেলাধুলায় বসিয়েছি মন।


যৌবন জুড়ে ছিল, জীবনের সংগ্রাম!
ব্যর্থতাই বেশি ছিল, বিজয়ে নাকাম;
তবুও হইনি আমি অসত্যের কাছে নত,
দারিদ্রকে করেছি দমন, তাই ছিল ব্রত।
যদিও ছিল শয়তানের ধোঁকা-প্রতারণা!
জানি না ওপারে তার ফল পাবো কি না।


কতটা সময় বাকি, কে বলিতে পারে-
তবুও স্বপ্ন এসে ভীড় করে বারে বারে,
আর তাই মর্মপীড়া, বহুগুণে বাড়ে!