কালের গর্ভে যখন গণতন্ত্রের মত একচক্ষু বিশিষ্ট
কিম্ভূতকিমাকার এক বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়,
ভূতলবাসীর সামনে তখন বিকল্প অনুসন্ধানের
অপশন ছাড়া আর কিছু থাকে না।


ভয়ানক শিশুর পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হবার
সাথে সাথে বসুন্ধরার হৃদস্পন্দন যখন
বিপদসীমা অতিক্রম করার উপক্রম,
তখন নতুন কোন সুসন্তানের আশা করাই বাঞ্ছনীয়।


কিন্তু গণতন্ত্রের ত্রাসের উত্তাপে প্রসব বেদনা
যদি মৃত্যু যন্ত্রণায় পর্যবসিত হয়!
তখন বিশ্ব সভ্যতাই যে অপমৃত্যুর সম্মুখীন হবে,
সেই আশঙ্কাই এখন ভূক্তভোগীদের কুরে কুরে খায়।
বিদগ্ধ মহল আজ কিংকর্তব্যবিমূঢ়!


অতীতের গর্ভে বিলীনপ্রায় চেতনা মন্থন করার দুঃসাহস
থেকে সঙ্গত কারণেই সচেতন ভাবে তারা বিরত!
অশুভ পরিণতি উপলব্ধি করেই উর্দ্ধতন
মনীষীর স্বয়ং ভাবশিষ্যরাই আজ আতঙ্কিত!
কাঙ্খিত সাফল্যের চেহারা যে এতটা কদাকার হবে,
তা কারও কল্প সীমার ধারে কাছেও ছিল না।
তাই চিন্তাশীল শুভাকাঙ্খীরা নিত্য নতুন
ব্যাখ্যা উপস্থাপণে গলদঘর্ম!


শান্তির অন্বেষায় জনতার কাফেলা
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হওয়ার পূর্বাভাসে নতুন নতুন
মাধ্যমে ভর করে ইথারে ইথারে ভেসে বেড়াচ্ছে।
                                                                                                                         (চলবে.....)