চারিদিকে শুনি আজ বিপন্ন মানুষের কান্না!
জীবনের প্রয়োজনে জীবন দাঁড়ায় না পাশে
হৃদয়ের মাঝে দেখ জমে গেছে কতটা ঘেন্না!
চারিদিকে শুনি আজ বিপন্ন মানুষের কান্না!


ধূলি ঝড়ে ছেয়ে গেছে আকাশ বাতাস জুড়ে
দু’টি হাত তুলে কাঁদে পিতা-মাতা-কন্যা!
আহারে! সুখের কণা, বাড়িয়েছে ঢের দেনা;
চারিদিকে শুনি আজ বিপন্ন মানুষের কান্না!


অফুরান জলরাশি! কোথা থেকে আসে ভাসি
অবনীবাসীর স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয় প্রাণঘাতী বন্যা!
বাতাসে মৃত্যুর ঘ্রাণ! ছোবলে যায় রে প্রাণ;
চারিদিকে শুনি আজ বিপন্ন মানুষের কান্না!


পশুরা গিয়েছে মরে! ফসলও নিয়েছে কেড়ে;
মাটির চিহ্ন নেই! জানে না কোথা হবে রান্না!
অভাবিত-আয়োজনে, অঘোষিত মৃত্যুর বায়না;
চারিদিকে শুনি আজ বিপন্ন মানুষের কান্না!


বাতাসে-অচেনা সুর! দাবানলে পোড়ে পুর!
উদ্গিরণের থাবায় গ্রাস করে আগুনের ঝর্ণা!
ছাইয়ের চাপায় পড়ে বেঁচে থাকা গেল না!
চারিদিকে শুনি আজ বিপন্ন মানুষের কান্না!


ভূমিকম্প-ভূমিধ্বসে, দেখ হাহাকার চারিপাশে
জীবন বাঁচাতে ফেলে দেয় হীরা-মতি-পান্না!
আকাশে বিচিত্র মেঘ! বজ্রপাত মৃত্যুর বাহানা!  
চারিদিকে শুনি আজ বিপন্ন মানুষের কান্না!


বিঃ দ্রঃ-সাম্প্রতিক বিশ্বময় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাথে কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে শেষ নবীর রেখে যাওয়া হাদিসের সাদৃশ্য আমাদের বিশ্বাসকে গভীরতর করে দেয়। এতদুদ্দেশ্যেই কবিতাটির অবতারনা।