স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই সাড়া জাগানো দৈনিক পত্রিকা "গণকন্ঠের" (১৯৭২-১৯৭৪পর্যন্ত) স্বনামখ্যাত সম্পাদক এবং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ গতকাল ১৫/০২/১৯ শুক্রবার রাত ১১.০৫টায় রাজধানীর শংকরে অবস্থিত ইবনেসিনা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর প্রকৃত নাম, মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ। বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তিনি ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ১৯৮৬ সালে একুশে পদক পান।


তিনি ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৫০ এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলাভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লেখালেখি করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কবি আল মাহমুদ একজন। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস(১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) অন্যতম।


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।


আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।