তারপরও কোন অবস্থাতেই সেই মহতী-পুণ্যবতী মহিলা
ফেরাউনকে ‘রব’ হিসেবে মোটেও স্বীকার করে নেননি!
মৃত্যুর পর তাদের অবস্থানটি এতই সম্মানিত ছিল যে,
নবীজী না দেখলেও সুঘ্রাণ তাঁর কাছে পৌঁছেছিল ঠিকই।


ইসলামের ইতিহাসে এ ঘটনা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা,
যা থেকে মানুষ সত্যের প্রতি আস্থাশীল হতে উদ্বুদ্ধ হন,
যিনি ছিলেন তাঁর সমাজে অচেনা-অজানা একজন ব্যক্তি;
যিনি ছিলেন, ফেরাউনের হাজারো দাসীর মধ্যে একজন।


তাঁর ইবাদতের গ্রহণযোগ্যতা এতই অপরিমিত ছিল যে,
মুসা(আঃ)’র উম্মতের কাছে বিষয়টি প্রকাশ না হলেও
আল্লাহ্তা’লা জানিয়ে দিয়েছিলেন তার চেয়েওে ঢের বড়
উম্মতের কাছে, তাঁর দৃঢ়তা, সাহস ও আনুগত্যের কথা।


তাঁর ঈমানের দ্বারা শাণিত মানুষ আল্লাহ্’র সে বান্দাকে
আনুগত্যের মানদন্ড হিসেবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় ভাবে;
আর যেই অভাগা, সম্মানিত বান্দাদের পুড়িয়ে মেরেছিল-
তাকেই সবাই সর্বকালের নিকৃষ্ট পশু বলেই মনে রাখবে।


চলবে----