প্রতীক্ষার প্রহরগুলো ঝরে পড়ে
শ্রাবণের ধারার মত চোখের তারায়,
খোকা এসে বলবে স্বাধীন পতাকা হাতে
মা, আমি এসেছি, গ্রহণ করো বুকে।
শুভ্র শাড়ির আঁচলে বাঁধ ভাঙ্গা আবেগে
ভেজা চোখ লুকিয়ে রেখে বলবে,
রাত জাগা পাখির মত তোমার মুখচ্ছবি
কল্পনার আরশিতে দেখেছি হৃদয় ভরে,
কখনো পরিখায়, কখনো সবুজ অরণ্যের নির্জনে।
রণাঙ্গনের শহীদ সাথীকে বলেছিলাম,
মুক্ত স্বদেশে আঁকবো তোমার ছবি,
বিস্তৃত সবুজ সোনালী ফসলের মাঠে
লাল সূর্যের মাঝে মানচিত্রের মত করে।
তুমি এসো মুক্ত স্বদেশে জনতার মাঝে,
লাল সবুজ পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকব
তোমার পথ চেয়ে স্বাগত জানাতে।
বলেছিলাম,
তোমার জননী কাঁদবে না ক্ষুধার রাজ্যে,
মুক্তি সেনারা রবে অতন্দ্র প্রহরীর মত দিবসে-নিশিথে!
অনিয়মের নিয়ম গুলো পালাবে সুনির্মল শাসনে,
হাসবে স্বদিচ্ছার গৌরব;
রণাঙ্গনের শুদ্ধতায় রাঙাব সকলের গৃহকোন,
প্রতিটি উঠোন, সদল বলে!
ভোরের পাখিরা জাগবে নির্ভয়ে,
নতুন মাঝিরা গাইবে নতুন সুরের গান,
নবান্নের আনন্দ ধারায়
নতুন শিশুরা হাসবে নির্ভরতার ছায়ায়।