অনেকদিন আগের কথা!
তখন সময়টা এমন ছিল, যেন ঝলমলে ভোর!
সামনে দৃশ্যমান ছিল জীবন চলার পথ;
আমার সাথে আমি তখন একা!
তবে এখন বুঝি, সাথে ছিল আল্লাহ্;
আর ছিল মানুষের প্রকাশ্য দুশমন, শয়তান!


তখন আল্লাহ্ কে চিনতাম না!
আর সেই সুযোগে শয়তান পাকড়াও করে!
তাকেও তখন শয়তান রূপে চিনতে পারিনি!
মিশে গেল অনায়াসে আমার রক্তের সাথে!
অথচ, সব কিছুই স্বাভাবিক মনে হতো!


একটা দীর্ঘ সময় পর-
মনে হতে লাগল, ফেলে আসা সময়ে
আমি ছিলাম না আমার মঝে!
তখন অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে!
দেখি, সামনে, অনেক দূরে, নান্দনিক স্বপ্নপুরী!
বুঝতে পারলাম, ওটাই শান্তিময় জান্নাত!
তখন আমার ঘাড়ে পাপের পাহাড়!
অন্তরে নিরন্তর চলে রক্তক্ষরণ!


আজ আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়!
চারদিকে বিরাজমান অমানিশার অন্ধকার!
কোনদিকে আলোর কোন রশ্মি নেই!
অথচ, খুঁজে পেতে চাই মুক্তির পথ।
সময় প্রায় শেষ রেখা করে ছুঁই ছুঁই!
কিন্তু, অর্জন বলতে আমার কিছুই নেই!


এখন ইচ্ছে করে, ফিরে যেতে সেই সেখানে;
যেখানে হারিয়েছিলাম ভুল করে নিজেকে!
অথচ, এখন আর দৃশ্যমান নয়
কোন আলোকিত জীবনের মসৃণ পথ!
যদিও চাই আরণ্যক জীবন থেকে ফিরতে।
নিজেকেই নিজে তীব্র ভর্ৎসনা করি বারংবার!


আলেয়াকে আলো ভেবে ধরেছিলাম আঁকড়ে তারে
দূরে ঠেলে দিয়েছিলাম আলোর ফোয়ারা!
আজ আমি নিঃস্ব! বিস্ময়ে দেখি মেকি বিশ্ব!
আমারই সামনে দিয়ে হেঁটে যায় চেনাজন
ললাটে তার বিজয়ের উজ্জল চিহ্ন।


তাই তো তুলেছি দু’টি হাত মহানের কাছে,
জানি না পাবো কি ক্ষমা, সময় কি আছে!
হে দয়াল, আমার কাছে নেই ফুটো কড়ি
কেমনে যাব সেথা, পারাপার কোথা!
সুযোগ যদি থাকে, দাও পথের দিশা।
অনুশোচনায় আজ আমি দগ্ধ;
আরেকটিবার দাও আমায় মুক্তির ঠিকানা।