নীরব দুর্ভিক্ষের হাহাকার শুনি দরিদ্রের হৃদয় গভীরে!
প্রকম্পিত আকাশ-বাতাস নির্ধনের স্লোগানে স্লোগানে!
রণক্ষেত্রে পরিণত হয় অলি-গলিসহ নগরীর রাজপথ!
পেটে জ্বলে ক্ষুধার আগুন দ্রোহী হয় খুন, সহ ভিন্নমত!
কেউ নেই, শুনাবে অভয় বাণী, কষ্টে কাঁদে হৃদয়খানি;
মুখ খুললে জোটে গঞ্জনা নইলে উপোষ দিবস-রজনী!
রুটি-রুজির নেই সংস্থান! সঙ্কটে কাটে দুখীদের প্রাণ!
কষ্টের কাল, জীবন বেহাল! বাড়ছে সজনীর অভিমান!


এ যদি হয় স্বর্গের দরিয়া! না জানি নরকের কিযে হাল!
মানুষের মনে জাগে সংশয়! আসবে কি ভয়াল আকাল!
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি! নাকানী-চুবানী খায় অসংখ্য সতী!
না পারে পাততে হাত, কষ্টের সংসারে ফিরে নারে গতি!
ভেবে মরে, কেমনে জুটবে আহার, কেমনে চলবে কাল!
ঘরে নেই একমুঠো দানা-পানি, নেই একমুষ্টি চাল-ডাল!