অবরুদ্ধ মর্ত্যবাসীর সম্মোহিত অভাজন
সুখের জলসাঘরে জীবনের রস শুষে নেয়;
নগণ্য নাগরিক ব্যথার জলছবি বুকে নিয়ে
অভাগার মত নির্ঘুম নিশি পার করে দেয়!


দিগম্বর সভ্যতা আদর্শহীন সমাজ নিয়ে
গবেষণা করে করে মুক্তির বাণী ছড়ায়!
বঞ্চিত মানুষেরা আদার ব্যাপারী বলে
নীরবে-অগোচরে মুখ থুবরে পড়ে রয়!


সুতা কাটা ঘুড়ির মত বেহায়া যৌবন
অলিগলি রাজপথ সর্বত্র দাপিয়ে বেড়ায়!
ব্যভিচারের সংজ্ঞা বদলে গেছে চরাচরে;
নানা নামে, নানা রঙে, মজা লুটে নেয়!


ঝড়ের পূর্বাভাসেও জমিনাসক্ত মানুষেরা
বেপরোয়া জীবের মত স্বপ্ন দেখে যায়!
সত্য সাধকের টুঁটি চেপে ধরে নির্দ্বিধায়!
স্রষ্টাকে গালি দিয়ে সুখের সন্ধান পায়!


অথচ জানে না, মহাকাল অপেক্ষা করে।
ততক্ষণ স্রষ্টা নিজগুণে ক্ষমা করে দেয়,
নির্দিষ্ট সময় পরে ক্ষমার অযোগ্য হলে
নিক্ষিপ্ত হতে থাকে জ্বলন্ত আগ্নিশিখায়!