শি্রকের সরোবরে অদম্য বাতুল
উর্বশী সান্নিধ্যে গড়ে আনন্দ ধাম!
আভিজনের অহমাচারে অরণ্যচারী হয়ে
সগৌরবে করে মুক্ত জীবনের আরাধন;
অহর্নিশি সঙ্গোপনে অমৃত শোষণ করে
বিলাস কাননে সদা তোলে শিহরণ!
আদিম রীতি দিয়ে অধুনা বিনোদী সাজে
বিধাতা বনিতে চায় স্বীয় ধরণীতে!
অবিমৃশ্য প্রবঞ্চকের কুটিল মন্ত্রনায়
অবিশঙ্ক চিত্তে আমরা করি মিথ্যাচার!
আবার সম্পর্কের বন্ধন নিয়ে বিতর্ক করি
যার শর্তই প্রেম ভালবাসা আর বিশ্বাস।
অর্থই যেখানে নমস্যের বিধায়ক
মূল্যবোধ-নৈতিকতার যুক্তি সেখানে মূল্যহীন।
তুচ্ছ-তাচ্ছিল‌্য ভরে অবজ্ঞা করা,
ছোট করে মজা পাওয়া, সেও এক নেশা-
জন্ম দেয় সন্দেহ, সম্পর্কহীনতা, অবিশ্বাস;
তবু মোমিনত্বের নির্ণায়ক স্বয়ং স্রষ্টা,
মুক্তির ছাড়পত্র রক্ষিত যার কাছে।
জানা আর মানার মাঝে ব্যবধান বিস্তর-
জানা যদি নগন্যও হয় হোক না
তাই বলে বিশ্বাসের প্রকাশে কি অধর্ম আছে?
অপবাদের চাপে আমি বিচলিত নই;
সান্ত্বনার উৎস আমার আত্মবিশ্বাসে,
পথের দিশা আমার যতটুকু চেনা
লক্ষ্য আমার আজও স্থির, তাই আমি নির্ভীক।
আমার চতুর্পাশে কন্টক জানি
কেউ তো অমর নয় তাও আমি মানি,
অযথা কেন তবে সুখের প্রলোভনে
সুরা, সাকী, জুয়া নিয়ে মাতি অকারণ!
নেশার পসরা নিয়ে খুঁজি নেশাখোর;
জীবিকার অন্বেষায় জনপদ শহর নগর।
অর্থলিপ্সা তোলে ঘর ভাঙ্গা ঝড়-
ভোগের সাগরে আসে মোহ'র প্লাবন,
তারপরও ভাবি আমি শুদ্ধ !