আমার কাব্যনদে নেই এক আকাশ
গভীরতার পরিণত আনন্দ;
যেথা নেই বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের তীব্র স্রোত,
যেথা আছড়ে পড়ে না অবারিত প্রেম
ষোড়শীর মন হরা অগণিত ঢেউ!


যেখানে বান ডাকা জোছনার মাদকতা নেই;
যেখানে কল্লোল করে না থৈ থৈ,
হাসে না পাগল করা শঙ্খচিল
স্পর্শহীন রমণীর রমণীয় তিল!
আমি বন্ধ্যা মরুর মত খাঁ খাঁ করা শূন্যতা,
আমাতে অবগাহন করে না কেউ!


আমাতে কুয়াশার রহস্য নেই;
যেথা খেলে না লুকোচুরি অহর্নিশ,
নেই অরণ্যের বন্যতার তৃপ্তির আভাস,
নেই সাদা সাদা মেঘে ঢাকা শরতের কাশ,
নিসর্গ ভেবে কেউ করে না শৃঙ্গার;
করে না আলীঙ্গন, গড়ে না আবাস!


আমি সুখের শব্দরাজি পারি না সাজাতে,
পারি না প্রণয়গীতি বাঁশিতে বাজাতে,
ভাসে না আমার বুকে হংসমিথুন,
পারি না মোহনীয়া আল্পনা আঁকতে,
পারি না স্বপ্নকে সারা গায়ে মাখাতে!


গোধূলির আভা রেখে হেলে গেছে প্রভাকর,
অবশেষে অস্তাচল অদূরেই দাঁড়িয়ে!
যবনিকা ডেকে যায় ছল্ ছল্ ইশারায়
সাঁঝ সাঁঝ আলোছায়া পেরিয়ে!
মিশে যায় দিগন্ত রেখা ঘুম ঘুম আঁধারে!