দ্রোহের আভাস পেয়ে ঝলসে উঠেই
জ্বালালে প্রতিশোধের ভয়াল দাবানল!
অথচ, তুমি তো বিজয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিলে।
আজ ভারসাম্যহীনের মত শুধুই প্রলাপ বকছো!


যদিও এই আমি তখনো তোমার শুভার্থী ছিলাম,
তুমি মুখোশধারী ছিলে বলেই আমি জানতাম।
তবুও তোমার প্রতিপক্ষ বলে নিজেকে ভাবিনি;
কিন্তু, তুমি কি দৃষ্টিকটু ভাবে নিজেকে প্রকাশ করলে!


আমার বিশ্বাস, তুমি আর কাউকে ভালোবাসতে পারবে না,
কারণ, তোমার হৃদয়কে তুমি নিজেই হত্যা করেছো!
এখন শুধু স্মৃতির পাতায় শান্তি হাতড়ে মরো!
কিন্তু, অভিশম্পাতের ঘুনপোকা রবে সদা জাগ্রত!


মৃত মানুষের মত উদাস দৃষ্টি করুণা সৃষ্টি করে,
বৃক্ষ বিনাশ করে নিজেই ধ্বংস করেছো সান্ত্বনার ছায়া!
অথচ, মিছেই আশা করো আজ শান্তিময় বৃষ্টিপাত!  
মূলোৎপাটন না করলে হয়তো উঁকি দিত আশ্বাস।


গড়িয়ে পড়ে চারপাশে অগ্নিগিরির লাভা!
লোভ-লালসার আতিশয্যে বাড়িয়েছিলে থাবা!
অক্টোপাশের মত খামচে ধরেছিল মোহজাল,
অথচ, আজ তুমি স্বপ্নহীন বিরানভূমিতে বড় একা!


বিদ্বেষের পাথর ছুঁড়ে রক্তাক্ত করেছিলে হীনবলে;
এতটাই পাষন্ড হয়ে উঠেছিলে নিজের অজান্তে,
যা ছিল না কারো প্রত্যাশা, নির্লিপ্ত হৃদয় ভূমে!
আজ নিজেই জানো না, তুমি প্রশান্তি থেকে কত দূরে!