পরিপাটি-সাজানো কাননে ফুটে অনিন্দ্য পুষ্প;
যার সুঘ্রাণে বীজনে ছড়িয়ে পড়ে পবিত্র স্বজ্ঞা।
থাকে না চারিদিকে চাঁচরের প্রাবল্য বা জঞ্জাল,
সেখানে ছড়িয়ে দেয় সুমিষ্ট তুষ্টি স্রষ্টার অনুজ্ঞা।


সেখানে স্বপ্ন হাসে থাকে নারে বিরহ বা ছলনা;
অনন্য বিন্যাসে পাপড়ি আবেগে তুলে স্পন্দন!
বিলাতে থাকে সবার হৃদয়ে, আলোর ফোয়ারা
গড়ে তোলে নৈর্ব্যক্তিক পরিবেশ-আত্মার বন্ধন।


মনের মাঝে আশার বাতি, মাধুরী দিয়ে জ্বালে;
শুভ্র-সতেজ খোয়াব ছড়ায়, সারাটি জীবন ভরে,
আলগোছে করে মৃদু আলাপ, ভালোবাসা দিয়ে
সুধার মতই লাগে তার বাণী, চলুক শ্বসন ভরে।


শীতের ভোরে শিশিরের মতন, লজ্জাবতী লতা;
আলতো করে ছুঁয়ে যায় হৃদ, নেই মুখে কুবচন,
প্রলয়ের শঙ্কায় হয় ম্রিয়মাণ, নয় সে অতি ধূর্ত;
সবার প্রতি বড় মৃদুভাষী সবাইকে ভাবে আপন।


স্বজ্ঞা>সংস্কার
চাঁচর>কুঞ্চিত, ক্ষয়প্রাপ্ত, কোঁকড়ানো।
অনুজ্ঞা>আজ্ঞা, সন্তোষ, তৃপ্তি।
নৈর্ব্যক্তিক>ঐশ্বরিক, স্বর্গীয়।
শ্বসন>জীবন।