সত্য-অসত্যের যুদ্ধ চিরন্তন;
পরস্পরের মাঝে চারিত্রিক বৈশিষ্টের
তারতম্যের কারণেই সত্য অনন্য।


সবাই সঠিক, এ কথা নয় ঠিক,
তবে চুড়ান্ত ফয়সালা স্রষ্টার হাতে।


মুক্তির অভিন্ন আন্দোলন ক্ষণকালীন;
অতঃপর স্বার্থের প্রয়োজনে উদ্ধত
আচরণে-অসত্য ফিরে চলে অরণ্যালয়ে!


সত্য আবার লাঞ্ছিত হয় অসত্যের কাছে!
এটাই ইতিহাস! সবারই হয় না জয়;
কখনো সত্যের কাছে অসত্য হেরে যায়,
কখনো বা সত্য পড়ে পড়ে মার খায়!


বিনয় যদি স্বভাব সিদ্ধ হয়, উত্তম;
তবে যদি হয় কৌশলের আড়াল
কিংবা যদি হয় ছল ছুতোর বাহানা,
তখনো কি বিনয় সত্যের পথে রয়?
সত্য-অসত্য এভাবেই বিভক্ত হয়ে
পরস্পর প্রতিপক্ষ বলে চিহ্নিত হয়!


মুক্তির ধারণা আপেক্ষিক;
হোক তা ইহকালীন অথবা পারলৌকিক,
তবে জাগতিক মুক্তি ক্ষণস্থায়ী হলেও
পরকালীন মুক্তি চিরন্তন সত্যে উদ্ভাসিত;
অক্ষয়, অমলিন ছাড়পত্রের হয় অনন্ত জয়।