তখনো আসোনি তুমি এই বীর ভূমে;
আকাশ ছোঁয়া আর্তনাদে কেটে যেত স্বপ্নহীন রাত!
রংধনুর গতরে মেখে যেতো বারুদের ধোঁয়া,
নুয়ে পড়া কাশফুলের আবডালে উঁকি দিতো
সাহসী তরুণদের অগ্নিঝরা ডাগর চোখ;
কখনো সখনো বিজয়ের স্ফুলিঙ্গ-কণা
উজ্জীবনী বার্তা হয়ে করে যেত আলিঙ্গন!
শিশিরের কান্নায় থমকে যেত প্রভাতের কলতান!


এমনই কোন এক বসন্ত বাতাসে ভেসে আসে
শেকল ভাঙ্গার শব্দ, মুক্তির আভাস, জীবনের গান;
অতঃপর উঠে দাঁড়ায় ডানা ভাঙ্গা পাখিদের ঝাঁক!
ওদের ধারালো নখে ছিল বিপ্লবের পূর্বাভাস,
মৃত্যুঞ্জয়ী হবার দুঃসাহসে ছিল মুক্তির অঙ্গীকার।
কাঙ্খিত অরুণাভায় আলোকিত হয়ে উঠে দিগন্ত।


তারপর তুমি এলে ঝরাপাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে লোকালয়ে,
বেজে উঠে আনন্দে নন্দিত স্বস্তির মৃদু সুর;
প্রতিটি গৃহ চূড়ায় শোভিত হয় বিজয় কেতন।
খুন রাঙ্গা বিচূর্ণ জমিনেও দোলে হৃদয়ের স্পন্দন।


অথচ, সহসাই ভোঁতা হয়ে যায় শাণিত প্রভাস!
ক্ষয়িষ্ণু চেতনার অধোগতি তোলে শঙ্কার ঝড়!
নিঃশেষ হতে থাকে দুরন্ত কবিতার অবশেষ!
আকাশে দেখি মেঘের ধূম্রজাল, ব্যতীত উল্লাস!


তবে কি আসছে ধেয়ে যবনিকা নবরূপে এই ভূমে!
যেখানে বাসা বাঁধে হৃদয়ের অন্তঃপুরে ফের অবসাদ!