তোমার কাজল কাল বাঁকা চোখে, দেখি সুনামীর ঢেউ!
জলের ছলে ছড়িয়ে দাও আদিখ্যেতার আবেগী প্লাবন!
কখনো স্ফুলিঙ্গের অপঘাতে জ্বালিয়ে দাও আর্দ্র শ্রাবণ!
জনপদের জীবন্ত স্বপ্নগুলো, হিংস্রতায় জ্বলে দাউ দাউ!
সুখ গ্রাসের তৃষ্ণা শুষে নেয় প্রেমসরোবর দানবের মত!
বিস্মিত বিশ্ব দেখে বিস্ময়ে, চমকের পর চমকের বর্ষণ!
দেখে, বিবর্ণ রুদ্রতা! নিয়ত সত্য-মিথ্যার ভয়াল ঘর্ষণ!
অথচ, তুমি হাসো অট্টহাসি! ঠান্ডা মাথায় হায়নার মত!


তোমাকে চিনতে করেছি ভুল! বুঝিনি তুমি উগ্র-অধর্ম!
তোমার নির্মমতায় মরমর বসন্ত কাঁদে তামসী পুরীতে!
অবিরাম-অভিশাপে জর্জর করবে ধর্ষিতা উত্তরসূরিতে!
অমোচনীয় রবে প্রজন্মের হৃদয়ে তোমার সমস্ত কুকর্ম!


ইতিহাস করবে না ক্ষমা রবে তুমি আগামীর যাদুঘরে!
সাজানো রবে সেথানে তোমার কুকীর্তি যত থরে থরে!